রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ছিটমহল গ্রামে মানিকা বেগম নামে এক গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে এবং জুতারমালা গলায় পরিয়ে গাছের সঙ্গে বেধে নির্যাতন করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে ৬ জন এসে বাবার বাড়িতে মানিকাকে নির্যাতন করে। পরের দিন মানিকা বেগমের ভাই বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে। মামলার পরই দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ঘটনায় সত্যতা পাওয়া গেছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
মনিকার চুল কেটে নির্মম নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। মনিকা নিজে আরো জানান, গাছের সঙ্গে বেধে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। পরে জুতার মালা পরিয়ে পুরো গ্রামে ঘোরানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান কয়দিন আগে দেবর মতিনের মেয়ে মৌসুমীর সংসার ভাঙলে এই দোষ তার ঘাড়ে চাপানো হয়। এর জেরেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার ওপর এই নির্যাতন চালায়। এসময় গ্রামবাসী দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখলেও কেউ বাচাতে আসেনি। মানিকা ও তার পরিবারের লোকজন এই অত্যাচারের শাস্তি দাবি করেনএলাকার লোকজন অবশ্য জানান তারা ভয়ে কথা বলছেন না।
আর পুলিশ বলছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গঙ্গাচড়া থানাপুলিশ পরিদর্শক, শুশান্ত কুমার সরকার বলেন, এই ঘটনার সাাথে জরিত সকলকে আইনের আয়তায় আনা হবে। মানিকাকে এখন পুলিশি হেফাজতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/আলো