শিরোনাম: |
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এবার উত্তরাখণ্ডের ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেছে নেপালিরা। ভারতীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০০-১৫০ মিটারের ওই এলাকাটি নিজেদের দাবি করে তারা ভারত-বিরোধী স্লোগান তুলেছে।
তনকপুরের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ওই বিতর্কিত জায়গাটি কার এবং সীমান্ত নির্ধারণের জন্য ভারত ও নেপালের যৌথ দল গঠন করা হয়েছিল। এলাকায় জরিপ পরিচালনার কথা ছিল সেই দলের। তবে করোনা ভাইরাস মহামারির প্রকোপে সেই পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে যায়।
হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে গত ২২ জুলাই (বুধবার) তার লাগানোর জন্য ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ ১৫-১৮ টি কাঠামো পুঁতে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ভারতীয় কর্মকর্তারা। তবে নেপালের বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ভারত বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। উত্তেজনা প্রশমনে পরে দু’দেশের সুরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন।
তনকপুরের মহকুমা শাসক দয়ানন্দ সরস্বতী হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, কাঠামো লাগানোর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান সশস্ত্র সীমা বলের (এসএসবি) কর্মকর্তারা। খবর দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনকে। মহকুমা শাসক বলেন, ‘চম্পাবত জেলার তনকপুর ব্যারেজ এবং ৮১১ পিলারের কাছে কয়েকটি কাঠামো বানিয়ে নেপালের বাসিন্দারা নো ম্যানস ল্যান্ডে জবরদখল করেছে বলে দেখা যায় এবং নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে। ওই এলাকাটি নেপালের ব্রক্ষ্মদেব এলাকার কাছে। যেখানে একটি ছোটো বাজার আছে।’
এসএসবি কমান্ড্যান্ট আর কে ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, কাঠামোগুলি স্থায়ী নয়। সেগুলি সাধারণ কংক্রিট এবং কাঠের। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেগুলি তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নেপালের সশস্ত্র বাহিনী। যদিও বৈঠকে উপস্থিত এক এসএসবি কর্মকর্তা জানান, মুখে কাঠামো সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও আদতে কোনও কাজ করা হয়নি। শুক্রবারও নেপালের লোকজনদের পিলারের উপর তার বসাতে দেখা গিয়েছে। 'নো ম্যানস ল্যান্ড' থেকে কাঠামোর তুলে নেওয়ার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
চম্পাবতের পুলিশ সুপার লোকেশ্বর সিং জানিয়েছেন, শুক্রবার দু'পক্ষ আলোচনায় বসেনি। বিষয়টি আপাতত এসএসবির হাতে রয়েছে। কিন্তু আশ্বাস মতো কাঠামো সরানো না হলে দু’দেশের কর্মকর্তারা কথা বলবেন।
দেশসংবাদ/বিটি/এফএইচ/mmh
আপনার মতামত দিন
|