বগুড়ার আদমদীঘিতে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে হাত, পা বেঁধে মারপিট করে নিজ শয়ন ঘরে গর্ত খুঁড়ে জ্যান্ত মাটিতে পুঁতে ফেলার চেষ্টার ঘটনায় পাষন্ড স্বামী নাঈম হোসেন সহ শ্বশুড়-শ্বাশুড়ীর বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিত গৃহবধুর বাবা শহিদুল কাজী। বুধবার রাতে আদমদীঘি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় পাষন্ড স্বামী নাঈম হোসেন কে পুলিশ গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া আদালতে পাঠিয়েছে।
জানা যায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের পাইকপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নাইম হোসেন এর সাথে নওগাঁ জেলার এনায়েতপুর এলাকার শহিদুল কাজীর মেয়ে ফাল্গুনী খাতুনের গত প্রায় ৫/৬ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের নূরমা খাতুন (৪) নামের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে নির্যাতিত ওই গৃহবধু ফাল্গুনী খাতুন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সংসার জীবন চলাকালে প্রায় নাঈম হোসেন তার শ্বশুড় পরিবারের কাছ থেকে যৌতুক দাবী করে আসছে। গত বুধবার বিকেলে আবারও ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে তার স্ত্রীকে হাত পা বেঁধে মারপিট করে শয়ন ঘরের মেঝেতে গর্ত খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় প্রতিবেশিরা টের পেয়ে ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং পাষন্ড নাঈম হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধুর বাবা শহিদুল কাজী বাদী হয়ে বুধবার রাতে জামাই নাঈম হোসেন এবং তার বাবা সিরাজুল ইসলাম ও মা রেহেনা খাতুনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার মূল নায়ক পাষন্ড নাঈম হোসেন কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপর আসামীদের গ্রেফতারের জোড় তৎপরতা চলছে।