মালয়েশিয়ার ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক বিভিন্ন দেশের ১৫ হাজার ৯৫৭ জন অভিবাসী দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। বছরের শুরু থেকে চলতি মাসের ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে ২১ হাজার ২৪১ জন আটক অভিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া দেশটির বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে আরও ১৫ হাজার ৯৫৭ জন অভিবাসী বন্দি রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের ২০১৯ সেরা সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াইবি দাতো সেরি হামজা বিন জয়নুদিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (কেডিএন) চিফ সেক্রেটারি, ওয়াইবিএইচজি দাতুক ওয়ান আহমদ ডাহলান বিন হাজী আবদুল আজিজ, উপ-মুখ্য সেক্রেটারি (ম্যানেজমেন্ট) কেডিএন ওয়াইবিজিটি দাতো রমলান বিন হারুন, উপ-মুখ্য সচিব (নিয়ন্ত্রণ) কেডিএন ওয়াইবিআরস তুয়ান হাজী মোহামাদ সানুরি বিন শহীদ এবং ইমিগ্রেশনের প্রধান পরিচালক ওয়াইবিজি ডেটো ইন্দেরা খায়রুল দাযাইমী বিন দাউদ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদিন বলেছেন, দেশে পাঠানোর আগে তারা কোভিড-১৯ থেকে মুক্ত রয়েছেন কি-না তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের নিজ নিজ দেশের সরকারের অনুমোদন নিয়ে ফেরত পাঠানো হবে।
এক্ষেত্রে অনুমোদন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব হচ্ছে। আটক অভিবাসীদের তাদের নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের ডকুমেন্টেশন পাওয়ার পর ফেরত পাঠানো হবে।
হামজা বলেছেন, ইমিগ্রেশন বিভাগ চলতি বছরের শুরু থেকে সোমবার ১০ আগস্ট পর্যন্ত ৪৭৬৪টি অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে ১৮ হাজার ৫৭৫ বিদেশি এবং ২৬৯ জন নিয়োগকারীকে গ্রেফতার করা হয়। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেছেলেন, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার চেষ্টার জন্য আন্তরিকতা এবং সততা প্রয়োজন। কারণ উভয় মনোভাব ছাড়া সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায় না। আর এমন কর্মকর্তাদের জন্য এ বিভাগে জায়গা রয়েছে।