নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নয়, দেশ তথা ঢাকাবাসীর স্বার্থে ‘টাস্কফোর্স’ কাজ করছে। নদীগুলোর প্রবাহ নিশ্চিত করব এবং নদী-খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব।
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা শুধু একটি শহর নয়, ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে ঢাকাকে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা ঢাকাকে রক্ষায় কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন হয়েছে। আমরা সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে কাজ করছি।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নদীর নাব্যতা রক্ষা ও নদীর গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের এক বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নদী ও পরিবেশ রক্ষায় ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পরিবেশবিদদের সঙ্গে কাজ করেছে। কিন্তু ২০০১ সালে খালেদা-নিজামীর সরকার নদী ও পরিবেশ রক্ষায় কোনো কাজ করেনি। যেখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী পর্যটন জেলা কক্সবাজারকে রক্ষায় কাজ করেছেন, সেখানে বিএনপি সরকার প্লট দিয়ে সুন্দর পর্যটন জেলা কক্সবাজারকে নষ্ট করে দিয়েছে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গায় পানির প্রবাহ বৃদ্ধি করা হবে এবং জলাবদ্ধতা দূর করা হবে।
মেয়র বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচর একটি আইল্যান্ড (দ্বীপ)। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার করে কামরাঙ্গীরচরকে একটি অন্যতম সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।’ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আগামী কিছুদিনের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বৈঠকে জানানো হয়, পরিবেশ অধিদপ্তর শিল্প কারখানায় অভিযান চালিয়ে পানি দূষণের জন্য ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ১৬৪ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করেছে। এ পর্যন্ত ৮৯ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে। সাভারের চামড়া শিল্প এলাকায় স্থাপিত কেন্দ্রীয় শোধনাগারের কিছু সমস্যা ছিল। এখন কারিগরি বা অন্যান্য সমস্যা নেই। কেন্দ্রীয় শোধনাগাটি ১০০ ভাগ কাজ করছে। সেখান থেকে ভালো পানি ডিসচার্জ হচ্ছে। নদীর পানি দূষিত হচ্ছে না। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে অনেক জেলায় নদীর তীর ভেঙে যাচ্ছে। নদীর তীর ভাঙনরোধে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বৈঠকে গুরুত্ব দেয়া হয়।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, তথ্য সচিব কামরুন নাহার।
তাছাড়াও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।