Desh Sangbad
Desh Sangbad
শিরোনাম: ■ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার ■ ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ■ দায়িত্ব নিয়ে যা বললেন বিএসএমএমইউর নতুন ভিসি ■ সড়কপথে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ■ ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ■ বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী দমন-পীড়নের শিকার ■ একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন
পরশ-নিখিলের নেতৃত্বে ইতিবাচক ধারায় যুবলীগ
Published : Friday, 11 September, 2020 at 7:56 PM

গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু

গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ১৯৭২ সালের ১১ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়।  বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এদেশের যুব আন্দোলনের পথিকৃৎ শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত সমাজ অর্থাৎ সামাজিক ন্যায়বিচার, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা, সকল ধর্মের  মানুষের স্ব স্ব  ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের অধিকার তথা জাতীয় চার মুলনীতিকে সামনে রেখে বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র দূরীকরণ,দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা সম্প্রসারণ, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং যুবসমাজের ন্যায্য অধিকারসমুহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা।এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের মধ্য থেকে স্বাধীনতা ও প্রগতিকামী যুবক ও যুব মহিলাদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন গড়ে তোলাই যুবলীগের উদ্দেশ্য।  প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুবলীগের নেতা কর্মীরা দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সাতটি জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনটির সবশেষ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে। ১৯৭৪ সালের প্রথম জাতীয় কংগ্রেসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

ওই সময়ে তার বয়স ছিল মাত্র ৩২ বছর। ওই সময় যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৪০ বছরের একটি বয়স-সীমার বিধান ছিল। তবে ১৯৭৮ সালে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির দ্বিতীয় জাতীয় কংগ্রেসে ওই বিধানটি বিলুপ্ত করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে ৩৮ বছর বয়সী আমির হোসেন আমু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোস্তফা মহসীন মন্টু। ওই সময় তার বয়স ছিল ৩৭ বছর। ১৯৯৩ সালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ১৯৯৬ সালের চতুর্থ জাতীয় কংগ্রেসে ৪৭ বছর বয়সে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শেখ ফজলুল করিম সেলিম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগিনা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনির ছোট ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিম। ২০০৩ সালের পঞ্চম জাতীয় কংগ্রেসে ৪৯ বছর বয়সে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর কবির নানক। ২০০৮-১২ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। তারপর ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত হয় সংগঠনটির ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস। ওই কংগ্রেসে ৬৪ বছর বয়সে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ওমর ফারুক চৌধুরী। 

গত বছর ক্যাসিনোকান্ড,টেন্ডার বাজি, সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের জড়িত থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে ঢাকা মহানগর কমিটিতে অভিযান পরিচালিত হয়।এসময় সামগ্রিকভাবে যুবলীগের ভাবমূর্তি সংকটে পড়ে। যা নিয়ে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। কারণ এই যুবলীগ বাংলাদেশের সকল লড়াই সংগ্রামে সামনে থেকে কাজ করেছে।রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অথচ গুটি কয়েকজন মানুষের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ নানা সমালোচনার মুখে পড়ে। আর যুবলীগের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২৩ নভেম্বর  ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের দ্বিতীয় সভায় শেখ ফজলে শামস্ পরশকে চেয়ারম্যান ও মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে সাধারণ সম্পাদক করে দায়িত্ব অর্পণ করেন। যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই প্রথম প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করে শেখ ফজলে শামস্ পরশ  বলেন, 'যুবলীগের একজন চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, একজন কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থেকে কাজ করব। আপনারা আমার শক্তি হবেন। আমার বাবা মণি বঙ্গবন্ধুর ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পক্ষে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য এই সংগঠন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তার কন্যার দেশের প্রতি হৃদয়ের ভালবাসা থেকে আমি সাহস পাই। 

তাই আজ আমি আপনাদের সামনে বলতে চাই, আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হচ্ছে আমি সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে পালন করব। অন্যদিকে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি যুবলীগের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে আত্মপ্রত্যয়ী হন। তারপর থেকে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল যুবলীগকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যুবলীগ কর্মীদের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের বাস্তবায়ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আপ্রাণ চেষ্টা শুরু করেন। যার ফলে বর্তমানে পরশ-নিখিলের নেতৃত্বে আরো বেশি সুসংগঠিত হয়েছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে যুবলীগ। এমনকি যখনি যুবলীগের কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠন বিরোধী কাজের অভিযোগ পেয়েছে ঠিক তখনি তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। এতে প্রমাণ করে অন্যায়কারীদের যুবলীগে কোন জায়গা নেই। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত, মানুষ নানা সংকটে জর্জরিত ঠিক তখনি রাজপথের লড়াই সংগ্রামের সংগঠন যুবলীগ মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন নিখিলের নির্দেশে যুবলীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সকল নেতাকর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাগরিক সচেতনতায় মাঠেনেমেছিল। প্রথমে হ্যান্ড স্যানিটাইজার,সাবান ও মাস্ক বিতরণ করে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে লকডাউন শুরু হওয়ায় রান্না করা খাবার বিতরণ।

গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিন

দেশসংবাদ/এসআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  যুবলীগ   গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু  


আপনার মতামত দিন
শুভ জন্মদিন : সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা
প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী
Sunday, 27 September, 2020
অসমাপ্ত আত্মজীবনীর নেপথ্যের কথা
ডা. ফারহানা মোবিন
Saturday, 15 August, 2020
করোনায় শিক্ষার অবস্থা ও পরীক্ষা
প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী
Friday, 24 July, 2020
আরো খবর
সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর >>
https://deshsangbad.com/ad/1699508455_1491666999_th.jpg
সর্বাধিক পঠিত
ফেসবুকে আমরা
সম্পাদক ও প্রকাশক
এম. হোসাইন
উপদেষ্টা সম্পাদক
ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা
ঠিকানা
৮০/২ ভিআইপি রোড, কাকরাইল
ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
Developed & Maintenance by i2soft
যোগাযোগ
ফোন: +৮৮ ০২ ৪৮৩১১১০১-২
মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৩ ৬০১৭২৯
ইমেইল: [email protected]
up