শিরোনাম: |
মা-ছেলের ক্রিকেট খেলার দৃশ্য ভাইরাল
দেশসংবাদ ডেস্ক
|
মা-ছেলের ক্রিকেট খেলার দৃশ্য ভাইরাল গত শুক্রবার থেকেই কিশোর-নারীর এই ক্রিকেট খেলার বেশ কয়েকটি ছবি অসংখ্য নেটিজেনদের টাইমলাইনে ঘুরপাক খাচ্ছে। বিভিন্ন গ্রুপেও শেয়ার হয়েছে সেসব ছবি। তাদের এমন ক্রিকেট খেলার দৃশ্যে মুগ্ধ নেটিজেনরা। ক্রিকেটপ্রেমিরা তাদের পরিচয় জানতে চেয়েছেন। মা-ছেলের ক্রিকেট খেলার দৃশ্য ভাইরাল জানা গেছে, সম্পর্কে তারা মা ও ছেলে। শুক্রবার বিকেলে যখন বাংলাদেশ পুলিশ ও আনসার মধ্যকার জাতীয় বেসবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচ চলছিল তখন রাজধানীর পল্টন ময়দানে ক্রিকেট খেলছিলেন মা-ছেলে। মা ও ছেলের ৩০ মিনিটের ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন ফটো সাংবাদিকরা। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে মুহূর্তেই তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোরকাপরা মায়ের নাম ঝর্ণা আক্তার চিনি। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। এক সময়ে দেশের সফল অ্যাথলেট ছিলেন। ঝর্ণার পুরো পরিবারই খেলাপাগল। তার ছোট ভাই জাতীয় ফুটবল দলে স্ট্রাইকার রোকনুজ্জামান কাঞ্চন। মা-ছেলের ক্রিকেট খেলার দৃশ্য ভাইরাল পরিবারের অগ্রজদের মতো খেলায় আগ্রহ ঝর্ণার ১১ বছরের ছেলে শেখ ইয়ামিনেরও। ফুটবল নয়, সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেটের প্রতি খুব ঝোঁক ইয়ামিনের। ইয়ামিন মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। এর ফাঁকে সুযোগ পেলেই ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে। তাই ক্রিকেটকে ছেলে কতটুকু আয়ত্বে এসেছে তা পরখ করতে পর্দার আড়ালে মাঠে নেমেছিলেন ঝর্ণা। গণমাধ্যম কর্মীদের ঝর্ণা আক্তার বলেন, আমি এক সময় খেলোয়াড় ছিলাম। ডিস্ট্রিক্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। বর্শা নিক্ষেপ, চাকতি, গোলক নিক্ষেপ, লং-জাম্প, ৫০০ মিটার দৌড়, ২০০ মিটার দৌড়ে নিয়মিতই অংশ নিতাম। আমার ভাই জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়। ইয়ামিন ক্রিকেট খুব পছন্দ করে। ও বড় হয়ে ক্রিকেটার হতে চায়। তাই আমি কাজী নজরুল একাডেমিতে ওকে ভর্তি করিয়েছি। এখন আমারও স্বপ্ন ইয়ামিন একদিন টাইগারদের সঙ্গে খেলবে। আপাতত তাকে বিকেএসপিতে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখছি। মা-ছেলের ক্রিকেট খেলার দৃশ্য ভাইরাল এদিকে মা-ছেলের ক্রিকেট খেলার ছবিগুলোতে জমা পড়েছে হাজারও মন্তব্য। সাদেকা বেগম নামের একজন লিখেছেন, কী দারুণ দৃশ্য! দেখে মন ভালো হয়ে যায়। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ক্রিকেট পাগল জাতির তালিকা করলে বাংলাদেশের নাম শীর্ষেই থাকার কথা। তা ছবিতে প্রমাণ। কাজী ইকরামুল হক নামে একজন লিখেছেন, যারা পর্দাকে এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা মনে করেন, সেই সব বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষের জন্য এটা একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে। দেশসংবাদ/জেআর/এফএইচ/mmh |
আপনার মতামত দিন
|