শিরোনাম: |
শহরমুখী মানুষদের জোর করে আটকানো যাবে না
দেশসংবাদ, ঢাকা
|
শহরমুখী মানুষকে জোর করে আটকানো যাবে না অপরিকল্পিত নগর উন্নয়নে ধ্বংস ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সকল কাজ পরিকল্পনামাপিক করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)-তে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশ (ইউডিজেএফবি) এর সাংবাদিকদের জন্য নগর পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। শহরমুখী মানুষকে জোর করে আটকানো যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। এজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ এর বিশেষ অঙ্গীকার করেছে। আর এই আধুনিক নগরীর সুযোগ-সুবিধা দিতে গিয়ে যেন আধুনিক সমস্যা তৈরি না হয় সেদিকে আমাদের সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে তিনি নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ দেয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ও যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লেনার্সের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ। অনুষ্ঠানে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মতিন আবদুল্লাহ, সাবেক সভাপতি অমিতোষ পাল, সহসভাপতি কামরুন নাহার শুভা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুন, অর্থ সম্পাদক জাহাঙ্গীর বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান ইমন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক সাইদুল ইসলামসহ সংগঠনের ৩০ জন সদস্য প্রশিক্ষণে অংশ নেন। তাজুল ইসলাম বলেন, নতুন করে গুলশান থেকে বারিধারা পর্যন্ত লেক সংস্কার করা হবে। লেকের দুই পাশে ওয়াকওয়ে করা হবে। গুলশান থেকে বনানী লেকের উপর নান্দনিক ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। হাতিরঝিলের মতো ইঞ্জিনচালিত নৌকা দেওয়া হবে। সবাই যেন খুব দ্রুত হাতিরঝিল থেকে বারিধারা যাতায়াত করতে পারে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারের মিশন এবং ভিশনে একাত্মতা ঘোষণা করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে একযোগে কাজ করতে হবে। রাজধানীতে সু-উচ্চ বিল্ডিং নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি বড় বিল্ডিংয়ে যে পরিমাণ মানুষ বসবাস করবে তাদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, শপিংমল বিনোদনসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস নিশ্চিত না করলে মানুষের চলাচল হ্রাস পাবে না যার ফলে রাস্তায় ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে। দেশসংবাদ/এসআই
|
আপনার মতামত দিন
|