শিরোনাম: |
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের অনন্য উদ্যোগ
দেশসংবাদ, ঢাকা
|
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনন্য উদ্যোগ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের অতিসম্প্রতি বর্তমান ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, পিএএ দাপ্তরিক কাজের সরকারের সেবাকে সহজ ও দ্রুত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সিস্টেম ডেভেলাপ করেছেন। যা শুধু ঢাকা বিভাগ নয় সারা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সুবিধা মানুষ পাবে। ইতোমধ্যে বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা রিপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম টি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে সকল বিভাগে চালু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সকল বিভাগের কোভিড-১৯ এর রিপোর্ট এই সিস্টেমের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘ ই-মিউটেশন উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বচ্ছ জবাবদিহিতামূলক প্রতিষ্ঠান বিকাশ ক্যাটাগরিতে “ইউনাইটেড ন্যাশনাল পাবলিক সার্ভিস আওয়ার্ড-২০২০” এ ভূষিত হয়েছে বাংলাদেশ। উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য ৬ বার জাতিসংঘের WASIS পুরস্কার পেয়েছে এ সকল পুরস্কারের অনেক উদ্ভাবনের সাথে এটুআই তে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে সম্পৃক্ত ছিলেন জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,পিএএ। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ মহোদয়ের দাপ্তরিক কাজকে ত্বরান্বিত করতে উদ্ভাবন সমুহ : ১) মাঠ প্রশাসনের কোভিড ১৯ রিপোর্টিং সিস্টেম ২) রিপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ৩) অনলাইন শূন্যপদ ব্যবস্হাপনা সিস্টেম ৪) দাপ্তরিক স্মৃতিকোষ ৫) বার্তা ১) মাঠ প্রশাসনের কোভিড ১৯ রিপোর্টিং সিস্টেম: জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ এর উদ্ভাবিত আর.এম.এস এর মাধ্যমে সকল বিভাগ মন্ত্রিপরিষদে রিপোর্ট দেওয়ার একটি প্লাটফর্ম যা থেকে সামগ্রিক ভাবে করোনা পরিস্হিতি মনিটরিং সম্ভব হচ্ছে। যার ফলে নিবীড় ভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া সহজতর হচ্ছে। ২) রিপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম: জেলা-উপজেলা থেকে যে কয়টি রিপোর্ট দেওয়া হয় তাকে সিস্টেমের মাধ্যমে প্রদান করা হয় ।উদ্ভাবিত এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে বিভাগীয় পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যন্ত মনিটরিং জোরদার এবং কর্মক্ষেত্রে গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা আনয়নে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ৩) অনলাইন শূন্যপদ ব্যবস্হাপনা সিস্টেম: বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ পদায়ন ও বদলি ব্যবস্থাপনা। এই সিস্টেমে সকল কর্মকর্তা প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে। এতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা তার অধীন কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন ব্যবস্থা রয়েছে যার মাধ্যমে এক নজরে প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দের সমস্ত বৃত্তান্ত পাওয়ার ফলে সহজে দ্রুত গতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ এসেছে। ৪) স্মৃতির পাতা: রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে পদায়ন/বদলি একটি নৈমিত্তিক ঘটনা। প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার জন্য একজন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হতে হয়। এতে দেখা যায় যে, পরবর্তীতে ঐ পদে নতুন পদায়িত কর্মকর্তা যোগদান করে ঠিক একই/কাছাকাছি ধরনের চ্যালেঞ্জ এর স্মমুখীন হতে হচ্ছে। পূর্ববর্তী দায়িত্বরত কর্মকর্তা কিভাবে সে চ্যালেঞ্জ উত্তোরণ করেছেন তার সঠিক তথ্য লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা না থাকার কারণে পরবর্তী কর্মকর্তা এসে সে মূল্যবান তথ্য পাচ্ছেন না যার দরুন জনগন তার কাঙ্খিত সেবা পেতে বিলম্বিত হচ্ছেন। সে সমস্যা দূরীকরণে একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশান তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয় যার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে সকল কর্মকর্তা তার মাঠ পর্যায়ে যেসব চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি হয়েছেন তা ডিজিটাল পদ্ধতিতে লিপিবদ্ধ করতে পারবে এবং সে পদের বিপরীতে একটি প্রশাসনিক মেমরি থেকে যাবে। স্মৃতির পাতা(www.ims.gov.bd) হলো সেই প্লাটফর্ম যেখানে সকল কর্মকর্তা তার পদের বিপরীতে আইডি তৈরি করে তার কর্মকালীন বিভিন্ন ঘটনা সংরক্ষণ করা যাবে। যার মাধ্যমে প্রতিটি পদের বিপরীতে একটি ইন্সটিটিউশনাল মেমরি তৈরি হবে। সেই মেমরিকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে জনগণকে সহজে সেবা দেওয়া যাবে। ৫) বার্তা : বার্তা একটি আন্তঃযোগাযোগ মাধ্যম যার মাধ্যমে যে কোনো প্রান্তে ফোনে বিনামূল্যে দ্রুত, সরল, নিরাপদ মেসেজ পাঠানো যায়। প্রশাসনিক কাজের গতি বৃদ্ধি, যে কোনো বার্তা (মেসেজ, ছবি, ভয়েস রেকর্ড) দ্রুত পৌছানো, উর্দ্ধতন ও অধঃস্তন কর্মকর্তাদের মধ্যকার যোগাযোগ এর মাধ্যম হিসেবে বার্তা অ্যাপটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই অ্যাপটিতে যে কোনো কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে এবং দ্রুত মেসেজের উত্তর দিয়ে যোগাযোগ করা যাবে। ই-নথিতে দেশ সেরা: ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগদান করার পর তিনি ই-নথিতে ঢাকা বিভাগের রেটিং বৃদ্ধির জন্য নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেন, সকল শাখায় শতভাগ ই-নথির ব্যবহার নিশ্চিত করেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রতিমাসে সেরা কর্মচারী বাছাই এর আয়োজন এবং অন্যান্য নানাবিধ উদ্যোগের ফসল হিসেবে ঢাকা বিভাগ অষ্টম অবস্থান থেকে পর্যায়ক্রমে চতুর্থ থেকে দ্বিতীয় এবং সর্বশেষ বাংলাদেশে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। একজন দক্ষ কর্মকর্তা শুধু নিজের দক্ষতা উন্নয়নেই কাজ করেন না সাথে সকল কর্মকর্তার দক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখেন। দেশসংবাদ/এসআই
|
আপনার মতামত দিন
|