বাবা রফিকুল ইসলাম ও মা রহিমা খানমের সাথে রুমকি ইসলাম
প্রতিনিয়ত আমরা অবচেতন মনে যা ভাবি, বাস্তবতা আমাদের সে দিকেই নিয়ে যায়। ভবিষ্যতে আমরা আত্মপ্রকাশ করি সেভাবেই। আসলে মন যা ভাবতে পারে, যা বিশ্বাস করতে পারে, তা অর্জন করতে পারে। আর এখানেই মনছবির শক্তি।
তবে অধিকাংশ মানুষ সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারে না তার মনের ইচ্ছাটাকে। নির্ধারণ করতে পারে না তার লক্ষ্যকে। প্রকৃত লক্ষ্যের খোঁজে সে ছুটে চলে এক পথ থেকে আরেক পথে। শুধু খুঁজে দেখে না তার মনের ভেতরে। এ দিকে ফুরাতে থাকে তার শক্তি শ্রম সময়ের মত আরও অনেক মূল্যবান সম্পদ। তাই সাফল্যের জন্যে লক্ষ্য নির্ধারণ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর তেমনি একজন শিক্ষার্থী রুমকি ইসলাম। তিনি নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার মৌলভীপাড়া গ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক মোঃ রফিকুল ইসলামের সুযোগ্য কন্যা।
রুমকি ইসলাম বলেন, আমি সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট থেকে প্রথম বিভাগে স্নাতক পাস করেছি আলহামদুলিল্লাহ। ইনশাআল্লাহ একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর এ পড়াশুনা শুরু করতে ইচ্ছুক। সকলের দোয়া কামনা করতেছি। প্রথমেই আল্লাহ পাক এর দরবারে লাখো শুকরিয়া জানাই। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ পাক এর অশেষ দয়া এবং আমার বাবা-মা, বড়মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, আত্মীয়স্বজনদের দোয়ায় আজ আমি এই অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি - তবে আমার বাবা সবচেয়ে বেশী সাপোর্টিভ ছিলেন আমার জন্য।
তিনি বলেন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেছি খরচের পরিমাণ কম ছিল না। আমার বাবা আমার পড়াশুনার ৮০ ভাগ খরচ বহন করেছেন, বাকি ২০ ভাগ আমার বড় ভাই মোঃ রাশিদুল ইসলাম রোমন। আমার এবং আমার পরিবারের প্রত্যেকের জীবনে আমার বাবার গুরুত্ব অপরিসীম। আমার বাবা মোঃ রফিকুল ইসলাম একজন প্রবীণ সাংবাদিক মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সাংবাদিক হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। একজন অসুস্থ মানুষ হয়েও তিনি যেভাবে আমাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে কন্ট্রিবিউট করে গেছেন সেটা এককথায় অসাধারণ!
তিনি তার অসুস্থ বাবার জন্য সকলের দোয়া চেয়ে বলেন, আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন- যেন মহান আল্লাহ তাআলা আমার বাবাকে সুস্থতা দান করেন কারণ আমার বাবা ছাড়া পৃথিবীতে আমি নিজেকে কল্পনাও করতে পারিনা। বাবার ছায়াতলে সারাটা জীবন কাটাতে চাই আমি।’
রুমকি বলেন, আরও একজন মানুষ আছে, সেটা হলো আমার গর্ভধারিনি মা মোছাঃ রহিমা খানম, সে শুধুই আমার গর্ভধারিনি মাই নন- তিনি আমার খুব ভালো বন্ধুও। তার হাত ধরেই আমি আজ এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি। বাবা দূর প্রবাসে দীর্ঘ সময় ধরে আছেন তবুও সেটা মায়ের আদর ভালোবাসা কখনো বাবার অভাব বুঝতে দেয়নি আমাকে।
তিনি আরও বলেন, সবার উদ্দেশ্য করে বলবো ক্লাসে প্রথম হওয়ার জন্য অসাধারণ মেধাবী হওয়ার প্রয়োজন নেই। আসলে ক্লাসে প্রথম হওয়া থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রথম হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থী তার জীবনে পরিপূর্ণতার স্বাদ পেতে পারে, সেরা ছাত্র বা ছাত্রী হতে পারে, যদি তার জীবনযাত্রায় আনতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তন। আর ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব সব শিক্ষার্থীদের।
উপদেষ্টা সম্পাদক ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা এনামুল হক ভূঁইয়া ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : এম. এ হান্নান যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ রুবাইয়াত আনোয়ার মেবিন হাসান