শিরোনাম: |
ভোট গ্রহণের ৪৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ করতে পারেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। তবে এরইমধ্যে নির্বাচনে ২৬৫ আসনের মধ্যে তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ১৭০টি সিটে জিতেছে বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলি খান।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
দেশটির গণমাধ্যমকে গোহার খান বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবে দাবি করতে পারি যে এই মুহূর্তে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পিটিআই ১৭০ আসনে জিতে নেতৃত্ব অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারিভাবে ৯৪টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসলামাবাদের তিনটি, সিন্ধুর চারটি এবং পাঞ্জাবের বাকি আসনসহ মোট ২২ আসনে পিটিআই জিতেছে। বাকি আসনে পরাজয় দেখানো হয়েছে।
ডনের খবরে আরও জানা গেছে, পাঞ্জাব পরিষদে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৪৫ আসনের মধ্যে ৩৯ আসনে জয় পাওয়ার দাবি করেছে পিটিআই।
এ বিষয়ে গোহার খান বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো একটি দল খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) থেকে এতগুলো আসনে জিতেছে। পিটিআই কেপিতে প্রাদেশিক আসনগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠতা জিতেছে এবং পাঞ্জাব পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের দিকে ‘অগ্রসর’ হয়েছে।
২৬৫টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫৩টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ইসিপির তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে পিটিআই পেয়েছে ৯৬টি।
নওয়াজ শরিফে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ৭৪টি, পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি) ৫৩টি এবং অন্যান্য ৩০টি। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও ১৪টি আসনের ফলাফল ঘোষণা বাকি রয়েছে। ফলে এ নিয়ে পিটিআই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে। তারা এরই মধ্যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
এদিকে ফলাফলে দ্বিতীয় অবস্থানে থেকেও জোট সরকার গঠনের জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন পিএমএল-এনের নেতারা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, জোট সরকার গড়ার জন্য এরই মধ্যে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে নওয়াজের পিএমএল-এন ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি।
দেশ সংবাদ/এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|