শিরোনাম: |
ভোটগ্রহনের তিন দিন পর পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন(ইসিপি)। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে দেশটিতে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশি আসনে জয় পেয়েছেন।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের প্রায় সবাই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাগারে থাকা ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন পেয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ ৭৫টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪টি। এছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ৩৪টি আসন। অন্য একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে কোনো রাজনৈতিক দলকে দেশটির জাতীয় পরিষদের ২৬৫টি আসনের মধ্যে ১৩৪টি আসনে জয়ী হতে হবে। পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। এই অবস্থায় সরকার গঠনের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে।
এদিকে এরইমধ্যে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটির ১৬তম সাধারণ নির্বাচনে জয় দাবি করেছেন। একইসঙ্গে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ না হলে সমর্থকদের বিক্ষোভে নামারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সরকার গঠনের জন্য পিটিআইকে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান গহর আলী খান। কারণ, জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়েছে।
ডন ও জিও টিভির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৮৮, ১৮ এবং ৯০ আসনের কয়েকটি কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে শনিবার দেশটির সেনাপ্রধান বলেন, পাকিস্তানের 'স্থিতিশীল শক্তি' দরকার এবং 'নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক প্রভাব ব্যাপক। জেনারেলরা দীর্ঘসময় দেশ পরিচালনা করেছেন। সাধারণ নির্বাচনে কোনো দল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারার পর জেনারেল সৈয়দ অসীম মুনির বলেছেন, 'নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতির পরিবর্তে দেশে স্থিতিশীল শক্তির প্রয়োজন। নিরাময়ের ছোঁয়া প্রয়োজন।'
দেশ সংবাদ/এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|