ধুনটে আ.লীগ নেতাদের বালু বানিজ্য, ৭ শ্রমিকের কারাদন্ড
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের অবৈধ বালু মহালে অভিযান চালিয়ে ৭ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে ১৫ দিন করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রিড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এসময় বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৪টি নৌকা ও ৪টি ভাল্কহেড জব্দ করা হয়।
সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে ধুনট থানা থেকে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে রবিবার রাতে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা নদীর চর এলাকায় পুলিশের সহযোগীতায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের পর কারাদন্ডের আদেন দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ধুনট উপজেলার রাধানগর গ্রামের ফরিদ সরকারের ছেলে সুজাত আলী (২৩), আব্দুর রহমানের ছেলে জেল হক (৩৫), বৈশাখী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে সুমন সরকার (৩২), পারলক্ষ্মীপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে মহাব্বত আলী (৩২), সিরাগঞ্জের তাড়াশের বিলসারা গ্রামের আছের আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (৫০), টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়া গ্রামের আজাহার মন্ডলের ছেলে ঠান্ডু মিয়া (৩৫) ও বেড়িপটল গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে হোসেন আলী (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব পাশ দিয়ে গেছে যমুনা নদী। প্রতিবছর নদীভাঙনে ওই ইউনিয়নের বৈশাখী, রাধানগর, বথুয়ারভিটা, কৈয়াগাড়ি, নিউসারিয়াকান্দি, ভূতবাড়ি, শিমুলবাড়ি, পুকুরিয়া, বানিয়াজানসহ প্রায় ১০টি গ্রামের হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও বসতভিটা ভাঙনের কবলে পড়ে যমুনায় বিলীন হয়েছে। ভাঙনকবলিত এসব গ্রামের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। বাঁধে আশ্রিত এসব মানুষ যমুনার মাছ ও চরে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এ অবস্থায় ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বৈশাখী, রাধানগর ও বথুয়ারভিটা নামে কয়েকটি চরের শত শত একর ফসলি জমি থেকে জোর করে একাধিক খননযন্ত্র মেশিন বসিয়ে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হযরত আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সরকারদলীয় লোকজন অবৈধভাবে বালু তুলছেন।
প্রতিদিন তারা প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি খননযন্ত্র বসিয়ে বালু তুলে বাল্কহেড ও নৌকা দিয়ে পরিবহন করে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করছেন। তাদের ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস নেই ভাঙনকবলিত এসব এলাকার মানুষের। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি তারা।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, যমুনা নদীর চর কেটে বালু তোলার অভিযোগে চারটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। বালু তোলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে ২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ৪ (খ) ধারা অনুযায়ী ১৫ দিন করে কারাদন্ড দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়। সোমবার থানা থেকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা এনামুল হক ভূঁইয়া ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : এম. এ হান্নান যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ রুবাইয়াত আনোয়ার মেবিন হাসান