ধুনটে আ.লীগ নেতার বাজার সম্প্রসারণের নামে কালভার্ট ভরাট
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মথুরাপুর-ধানঘরা সড়কের তালতলা চারমাথা এলাকায় ৩টি কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করেছে স্থানীয় ভূমি মালিকেরা। আওয়ামী লীগ নেতার নতুন বাজার সম্প্রসারণের নামে তারা কালভার্ট গুলোর মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে এলাকার পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার প্রায় শতশত একর আবাদি জমি চাষাবাদে হুমকির মুখে পড়ার আশংঙ্কায় আছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে কালভার্ট গুলো নির্মান করা হয়েছে। বর্তমানে পাকা ওই সড়কটি সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। সড়কটির তালতলা চারমাথা এলাকায় মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রায় এক বছর ধরে বাজার গড়ে তুলছেন। বাজার গড়ে ওঠার পাশাপাশি সেখানকার জমির মূল্য বেড়ে গেছে। তাই তিন ফসলি জমি ভরাট করে সেখানে দোকানঘর নির্মানের প্রতিযোগীতায় নেমেছে স্থানীয়রা। তালতলা চারমাথা এলাকায় ৩টি কালভার্টের মুখ মটি দিয়ে বন্ধ করে সেখানে দোকানঘর নির্মান করছেন স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম, মকুল হোসেন, সুলতান মাহমুদ, আনোয়ার হোসেন ও শাহ আলম।
স্থানীয় একাধীক ব্যক্তি জানান, ক্ষমতাসীন দলের নেতার প্রভাব খাটিয়ে এমন পরিবেশ ও জনস্বার্থবিরোধী কাজ করা হচ্ছে। প্রভাবশালী নেতাকে কিছু বলতেও সাহস পাচ্ছে না কেউ। এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের কালভার্ট ৩টি বন্ধ করার কারণে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হবে কৃষকসহ স্থানীয় লোকজনের। গ্রামবাসীর স্বার্থে এই কালভার্টের মুখ সম্পূর্ণ খুলে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা দরকার।
এলাকার কৃষকেরা জানান, কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় ফসল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অতিদ্রুত কালভার্টের এই মাটি অপসারণ করা না হলে সামান্য বৃষ্টি হলেই চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। ফসল নষ্ট হলে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন এলাকার কৃষকেরা।
তবে কালভার্টের মুখ বন্ধকারীরা জানান, আমাদের জায়গা দিয়ে পানি নামতে দেব না। আমাদের জায়গায় দোকান করার জন্য মাটি ভরাট করেছি। অন্যের জায়গায় মাটি ভরাট করিনি। আমাদের নিজ প্রয়োজনে কালভার্টের মুখ ভরাট করছি। এতে কার কি ক্ষতি হলো এটা দেখার বিষয় নয়।
এ বিষয়ে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্তজা বলেন, কালভার্টের পাশের ভূমি মালিকদের সাথে কথা বলে বিকল্প পদ্ধতিতে ফসলি জমি থেকে পানিনিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি কালভার্ট বা জলাধার বন্ধ করে কোনো প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা নির্মাণ করতে পারেন না। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা এনামুল হক ভূঁইয়া ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : এম. এ হান্নান যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ রুবাইয়াত আনোয়ার মেবিন হাসান