Published : Wednesday, 20 March, 2024 at 10:33 PM, Update: 20.03.2024 10:41:19 PM
ইসলাম ধর্মের নিয়মানুযায়ী রমজানে প্রতিটি সুস্থ-সবল মানুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ বা বাধ্যতামূলক। আর সেহরি মানে শেষ রাতের খাবার অর্থাৎ রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে যে পানাহার করা হয়, সেটাকে ইসলামের পরিভাষায় সেহরি বলে।
রোজা রাখার নিয়তে সেহরি খাওয়া সুন্নাত। সেহরি অত্যন্ত বরকতময় খাবার। সেহরি খাওয়ার অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা সেহরি খাও, কারণ সেহরিতে বরকত আছে। (বুখারি, হাদিস: ১৯২৩)
রাসূল (সা.) বলেছেন, আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান আর মুসলমানদের রোজার মধ্যে শুধু সেহরি খাওয়াই পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সেহরি খায় না আর আমরা সেহরি খাই। (মুসলিম, হাদিস: ১৮৪৩; তিরমিজি, হাদিস: ৬৪২)
মানুষজন সাধারণত শেষ রাতে সুবহে সাদিকের আগ মুহুর্তে সেহরি খেয়ে থাকেন। রাসূল (সা.) নিজেও সবসময় শেষ সময়ে সেহরি খেতেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। সেহরি খাওয়ার আগ মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠার পূর্বে স্বপ্নদোষ হলে করণীয় বিষয়ে অনেকে জানতে চান।
যেমন- রাতে স্বপ্নদোষ হলে গোসল না করে সেহরি খাওয়া যাবে কি?
এমন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন, স্বপ্নদোষ হলে গোসল ফরজ হয়। আর গোসল ফরজ অবস্থায় নামাজ, তাওয়াফ, কোরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে প্রবেশ করা ছাড়া অন্যান্য সবধরণের কাজ করা যায়। (বুখারি ২৭৯) সুতরাং সেহরিও খাওয়া যাবে।
আলেমরা বলেন, তবে মনে রাখতে হবে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও কোনো কারণ ছাড়া অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গুনাহ। (বাদায়ে ১/১৫১)
নওফেল বিন মুআবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার নামাজ কাজা হয়ে গেল, যেন তার পরিবার ও সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল। (মুসনাদে আহমাদ ২৩৬৪২)
সুতরাং মনে রাখতে হবে ফজর নামাজের আগেই গোসল করে নামাজ আদায় করতে হবে।