কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে আইন করার সিদ্ধান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই আইনের খসড়া করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। এসময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
গুগলের জেমিনি বা মাইক্রোসফটের চ্যাটজিপিটির মতো এআইগুলো এখন বিশ্বের আলোচিত বিষয়। লেখালেখি থেকে শুরু করে প্রশ্নোত্তর, গ্রাফিক্যাল উপস্থাপনাসহ নানা ধরনের সৃষ্টিশীল কাজ এখন এআই দিয়েও করা হচ্ছে।
আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত জনপ্রিয়তার মধ্যে এর নিয়ন্ত্রণেও বিভিন্ন দেশ উদ্যোগী হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোও এআইকে নিয়ন্ত্রণে আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আইনের বিষয়ে এদিনের বৈঠক শেষে আনিসুল হক বলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই বিষয়ে একটা ড্রাফট (খসড়া) করা হবে। সেখানে কী কী থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ।
আইনমন্ত্রী বলেন, মানুষের অধিকার সংরক্ষণ ও সুবিধার জন্য এআই যেনো ব্যবহার করা যায়, সেটাই মূল উদ্দেশ্য।
কী আছে গুগলের জেমিনি এআইয়ে, পারবে চ্যাটজিপিটিকে হারাতে?কী আছে গুগলের জেমিনি এআইয়ে, পারবে চ্যাটজিপিটিকে হারাতে?
এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যেনো কোনো অপপ্রয়োগ না হয়, সেটি মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভিবাসীদের সংগঠন 'সেন্টার ফর এনআরবির সঙ্গে বৈঠকেও এআই নিয়ে আইন তৈরি উদ্যোগের কথা তোলেন আনিসুল হক।
তখন আইন আইন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিলো, এআই নিয়ে আইন করার বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ হচ্ছে। এ আইন করার আগে অংশীজনদের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করা হবে।