বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ‘হঠাৎ গুরুতর অবনতির’ কথা জানিয়ে তাকে হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর তা থেকে সরে এসেছে দলটি।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের বাসভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, দুপুরের পর থেকে ম্যাডাম একটু অসুস্থ বোধ করছিলেন। বর্তমানে তিনি আগের তুলনায় সুস্থবোধ করছেন। এ কারণে তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বাসায় এসে তাকে চিকিৎসা দিয়েছে, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। বোর্ড সদস্যরা জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে আপাতত বাসাতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে এবং তিনি পর্যবেক্ষণে থাকবেন। প্রয়োজন হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হবে।
এর আগে প্রথমে রাত ৯টার পরে এবং পরে রাত ১০টার পরে খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়ার কথা দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেসময় বলা হয়, তাকে নেয়ার বিষয়ে নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর চিঠিও দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। পরদিন ১৪ মার্চ রাতে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে আছে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। সে যাত্রায় হাসপাতালে ১৫৬ দিন থেকে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কিছুদিন বিরতি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে তাকে।