উত্তর কোরিয়াকে রাশিয়া অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেইনকে পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহের জবাবে এমন পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে জানান তিনি। পুতিন এমন সম্ভাবনার কথা বলায় যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
.
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) উত্তর কোরিয়া সফর শেষে ভিয়েতনাম গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। উত্তর কোরিয়া সফরের সময় কিম জং উনের সঙ্গে পুতিন একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছেন।
শুক্রবার (২১ জুন) দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানায়, রুশ প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, পিয়ং ইয়ংকে অস্ত্র সরবরাহ করা হলে তা কোরীয় উপদ্বীপকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। তাছাড়া অস্ত্রের ধরনের ওপর নির্ভর করবে– রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের খসড়ার লঙ্ঘন করছে কিনা।
এর আগে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে হওয়া চুক্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি এই চুক্তিকে কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ‘গুরুতর হুমকি’ বলে বর্ণনা করেন।
ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তির জবাবে বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে ভেবে দেখবে।
শুক্রবার আল জাজিরা লিখেছে, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন ঘটানোয় পশ্চিমা দেশগুলো উত্তর কোরিয়াকে একঘরে করেছে। এ প্রেক্ষাপটে তারা মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে উদ্বেগের সঙ্গেই দেখছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে পুতিন হুমকি দেন যে, পশ্চিমাদের প্রতিপক্ষকে রাশিয়া অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। কারণ, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে ব্যয়বহুল অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুমতি দিচ্ছে।
পুতিন কোন কোন দেশকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারেন, এ বিষয়ে তখন কিছু না বললেও এবার তা পরিষ্কার করলেন। তিনি জানালেন, উত্তর কোরিয়া রুশ অস্ত্র পেতে পারে।