Published : Saturday, 7 September, 2024 at 10:30 AM
ভালো থাকার জন্য শরীর ও মন সুস্থ থাকা খুবই জরুরি। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কিছু অভ্যাস অনুসরণ করা প্রয়োজন। বয়স বাড়ার সঙ্গে কেবল শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও ভালো রাখাটাও প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরের অন্যান্য অংশের মতো,নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারায় মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিরতি: স্মৃতিশক্তি, সমস্যা সমাধান এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো মস্তিষ্কের ফাংশনগুলির জন্য ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময়, মস্তিষ্ক স্মৃতিকে একত্রিত করে এবং বিষাক্ত পদার্থগুলিকে পরিষ্কার করে। গবেষণা অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের ভালোভাবে কাজ করার জন্য প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুম ভালো না হলে মস্তিষ্কের বিশ্রাম হয় না। এর ফলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এজন্য ঘুমের একটি রুটিন তৈরি করুন।
মস্তিষ্ক সচল রাখুন: মস্তিষ্ককে সচল রাখতে নানা ধরনের কাজে মস্তিষ্ককে যুক্ত হতে বলেন বিশেষজ্ঞরা । বিভিন্ন কার্যকলাপ যেমন- ধাঁধা মেলানো, বই পড়া, নতুন ভাষা শেখা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে উদ্দীপক কার্যকলাপে নিযুক্ত থাকা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাবার: আমাদের খাবার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। মাছ, অলিভ অয়েল, বাদামও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এসব খাবার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
মেডিটেশন: মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব ফেলে মেডিটেশন। নিয়মিত এই অনুশীলন মানসিক চাপ কমাতে, মনের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সাহায্য করে। ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত মেডিটেশন স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।