দেশের মানুষের ভোট ও কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরার কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল ফুটবল মাঠে এক জনসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে। জনগণের আন্দোলন, জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঠিকই হয়েছে। কিন্তু এখনো আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্থাৎ জনগণের রাজনৈতিক অধিকার এখনো অর্জিত হয়নি।
তিনি বলেন, কাজেই আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে- মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের ভেতরে-বাইরে যারা কলকাঠি নাড়ছে, তারা চায় না দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। এরি মধ্যে দেখা যাচ্ছে- কিছু রাজনৈতিক দল পার্শ্ববর্তী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে। তারা বেশ কিছুদিন যাবত উল্টোপাল্টা বকছে।
তিনি বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। কলারোয়া সাতক্ষীরার মানুষ এর প্রমাণ।
এ সময় এলাকাভিত্তিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তারেক রহমান বলেন, দেশের উন্নয়নে রাজনীতি করে বিএনপি। সাতক্ষীরার মাটির তৈরি টালি, শিল্প কারখানা সংরক্ষণ, মুন্সিগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্র, উপকূলবর্তী এলাকায় মজবুত বেড়িবাঁধ, চিংড়ি শিল্প এবং সাতক্ষীরার আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হলে এলাকা ভিত্তিক উন্নয়নকে কাজে লাগাতে হবে। আর এ জন্য দরকার জনগণের সরকার।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালীন কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য খাল খনন করেছিলেন। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে জনগণের জন্য আবারও খাল খনন প্রকল্প চালু করা হবে। যেন কৃষকরা শুকনো মৌসুমে খাল থেকে পানি সেচ দিয়ে ফসল ফলাতে পারে।
বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য দেন দলের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, ডা. শহিদুল আলম, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিন, অ্যাডভোকেট শাহানারা আক্তার বকুল, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান, যুবদল নেতা আইনুল ইসলাম নান্টা।