রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটিতে সরকার দলীয় প্রার্থীরা প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও নির্বাচন কমিশন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ রোববার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, সরকার দলীয় প্রার্থীরা কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা প্রদান করা হচ্ছে। গত পরশু দিন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানা দেওয়া তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভোটারদেরকে ভয় পাইয়ে দেওয়াই এই পুলিশি অভিযানের মূল লক্ষ্য।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ ধানের শীষের এজেন্টদেরকে নির্বিচারে আটক করে ১৫/২০ ঘণ্টা পর তাদের গ্রেপ্তার দেখায়। পুলিশি এই অনাচার এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকার দলীয় প্রার্থীরা বহিরাগত সন্ত্রাসী ও অন্যান্য নেতাদের নিয়ে এসে ধানের শীষে প্রচার-প্রচারণায় ব্যাপকভাবে বাধা দিচ্ছে। জনগণের সমর্থন না পেয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এই ধরনের কর্মকাণ্ড করছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিকট অভিযোগ করলেও তারা ঠুটো জগন্নাথ হয়ে নিশ্চুপ বসে আছেন।
আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন খুলনা ও গাজীপুরের মতোই ভীতিকর অবস্থায় পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, তিন নির্বাচনী এলাকাতেই বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার, গণগ্রেপ্তার, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা, ধানের শীষের সমর্থক ও এজেন্টদেরকে সাদা পোশাকধারী কর্তৃক তুলে নেওয়া ও তুলে নেওয়ার পর অস্বীকার করার ধুম শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ সময় তিন সিটিতে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থীদের মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর তীব্র নিন্দা জানান বিএনপির এই নেতা। একই সঙ্গে তিনি গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান। নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়ের করা কোনো অভিযোগের ব্যাপারে কিংবা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের শপথ নিয়েছেন, কিন্তু খুলনা-গাজীপুরসহ চলমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে ঢালাও অনিয়ম ও অনাচারে সমগ্র নির্বাচনী ব্যবস্থা তছনছ হওয়ার পরেও তাদের নীরব দর্শকের ভূমিকা অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত ও অপ্রত্যাশিত। তারা শুধু নীরব নয়, বরং সরকারের অনুষঙ্গ হিসেবেও কাজ করছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা এনামুল হক ভূঁইয়া ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : এম. এ হান্নান যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ রুবাইয়াত আনোয়ার মেবিন হাসান