নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পত্তনদার মো. রাকিবের বিরুদ্ধে ইছমতি নদীর কোমরগঞ্জ-বাহ্রা খেয়াঘাটের মাঝিদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলা সদরে এসে সাংবাদিকেদের কাছে অভিযোগ করেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ঘাটের মাঝিরা।
অভিযোগে ঘাটের মাঝিরা জানান, যুবলীগ নেতা পত্তনদার মো. রাকিব ঢাকা জেলা পরিষদ থেকে ২০১৮/১৯ অর্থ বছরে আগলা চৌকিঘাটা-বাহ্রা খেয়াঘাট ইজারা নেন। কিন্তু বিগত ৩ বছর যাবত কোমরগঞ্জ-বাহ্রা খেয়াঘাটের ২০/২২জন মাঝিদের থানা পুলিশ ও প্রশাসনের ভয়ভীতি দেখিয়ে সাপ্তাহিক চাঁদা উত্তোলন করে আসছিলেন। সাম্প্রতিক বৃষ্টির কারনে মাঝিরা টাকা দিতে ব্যর্থ হন। পরে ২৫ জুলাই রাত ৮টায় দিকে পত্তনদার মো. রাকিব ঘাটে থাকা মাঝিদের গালিগালাজ করেন এবং তাদের পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান।
মাঝি- সালাহউদ্দিন, রবিউল, রহিম, আদালত, মুনসের আলীসহ মাঝিরা জানান, “ঘাটের কাছে ব্রীজ অওনে এমনেই যাত্রী কম। ঘাটের চাইরদিকে রাস্তা হইয়ে গেছে। এমনেই দুরদিন। সংসার চালাইতে কষ্ট হয়। তার মধ্যে নেতাগো হপ্তা দিমু কেমনে। আমাগো বাঁচান। এবিষয়ে পত্তনদার মো. রাকিব চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এবছর ৩ লাখ টাকায় ঘাট ইজারা নিয়েছি। আমার কাছে ইজারার কাগজ আছে।
বাহ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. সাফিল উদ্দিন মিয়া বলেন, কোমরগঞ্জ খেয়াঘাটের সাথে আগলা চৌকিঘাটা-বাহ্রা খেয়াঘাটটির অবস্থান ভিন্ন। দুটির কোন সম্পৃক্ততা নেই। বক্সনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন, কোমরগঞ্জ-বাহা ব্রীজ হওয়ার পর থেকে এ ঘাটের দরপত্র হয় না।
অভিযোগের সত্যতা জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেনের দপ্তরে গেলে তিনি ঢাকায় আছেন বলে জানা যায়। তবে উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কর্মকর্তা মো. শফিক জানান, কোমরগঞ্জ-বাহ্রা খেয়াঘাটের কোন দরপত্র বিক্রি হয়নি। তাই স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা এনামুল হক ভূঁইয়া ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : এম. এ হান্নান যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ রুবাইয়াত আনোয়ার মেবিন হাসান