শিরোনাম: |
রাজধানীতে দুই গৃহবধূকে হত্যা
দেশসংবাদ, ঢাকা :
|
হত্যা নিহত রত্মার ভাই শওকত আকবর বলেন, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বেতাগৈর গ্রামে। বাবার নাম মৃত রিয়াজ উদ্দিন। কলেজে পড়া অবস্থায় রত্মা ভালবেসে একই এলাকার জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করে। তারা স্বামী-স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান ইফতেখারকে নিয়ে রামপুরার বনশ্রীর ডি ব্লকের ১০ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসায় থাকতো। রত্মা গুলশান শাহজাদপুর এলাকায় সোলায়মান কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষকতা করলেও তার স্বামী এখন পর্যন্ত বেকার। রত্মাই সংসার চালাত। আমাদের পক্ষ থেকেও কিছু টাকা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সব কিছু খেয়ে আমার বোনের উপরই নির্যাতন করত জাহাঙ্গীর। গত বুধবার সকালে রত্মা স্কুলে যাওয়ার সময় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর রত্মাকে গলাটিপে হত্যা করে বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়ে যায়। সকালে ছেলে ইফতেখার মায়ের কক্ষে তালাবদ্ধ দেখে মার কথা জিজ্ঞাসা করে। তখন তার বাবা বলে তার মা স্কুলে চলে গেছে। তুমিও স্কুলে যাও। তখন সে স্কুলে চলে যায়। বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে একই অবস্থা দেখতে পায়। তখন তার বাবাকে ফোন দেয় ইফতেখার। বাবা জানায়, রত্মা তার সঙ্গে আছে। তাকে শাহজাদপুরে তার ফুফু নাসিমার বাসায় যেতে বলে। পরে জাহাঙ্গীরকে আবার কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রামপুরা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, মৃতের গলায় কালচে দাগ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শওকত বুধবার রাতেই একটি হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, গৃহবধূ রূপা স্বামী মো. সোহেল ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সঙ্গে যাত্রাবাড়ী থাকত। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনই গার্মেন্টেসে চাকরি করতো। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া করতে শুনেছে ফ্ল্যাটের অন্য সদস্যরা। পরের দিন তাদের রুমের দরজা খোলা পেয়ে রুপার লাশ দেখতে পায় তারা। এরপর পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। ওসি জানান, নিহতের গলায় কালচে দাগ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ি পলাতক রয়েছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। দেশসংবাদ/এসআই |
আপনার মতামত দিন
|