সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাশঁতলা (আননপাড়া) থেকে পেকপাড়া স্কুল হইয়া ঝুমগাও (ইসলামপুর) পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষজন। বিশেষ করে স্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৪/৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন।
বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল, রিস্ক্রা ,সিএনজি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সরজমিন দেখা গেছে, কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল কাঁচা রাস্তাটি বড় বড় গর্ত থাকায় মানুষকে খালি পায়ে জুতা খুলে পথ চলতে হয়। মাঝে মাঝে মোটরসাইকেল, রিস্কা,সিএনজি যাওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হওয়া যায়না,মাঝপথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাটি খানাখন্দে প্রায় সময়ই আটকে পড়া যানবাহনগুলো দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণকে পড়তে হয় বিপাকে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম জানান, আমার নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী আমার ওয়ার্ডের সর্বপ্রথম যে কর্মসৃজনের কাজটা করেছিলাম এটা সেই রাস্তা, কাজটাও ভাল হয়েছিল এলাকার সকলের প্রশংসা কুড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও পাকাপরনের অভাবে সেই রাস্তাটি আবারো পূর্বের চেহারায় ফিরে গেছে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী হেমন্ত মৌসুমে নির্বাচনী ওয়াদা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাস্তাটি পাকাকরণ করবেন বলে ও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ঐ এলাকার জনসাধারনের উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবনের অন্তরায় হলো এই রাস্তাটি তাই রাস্তাটির পাকাকরণ কাজ সম্পন্ন হলে এই অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা স্বাস্থ্য,বাসস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধিত হবে।
স্থানীয় মোটরসাইকেল ড্রাইভার জামাল জানান, এই রকম কিছু রাস্তা বর্তমানে এই এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে, এই এলাকার সধারণ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো মোটর সাইকেল। তাই জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে যাত্রী বহন করে অনেক সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। তিনি বলেন এসব রাস্তা পাকা করনের কাজ না করা হলে এখান থেকে আমাদের দূর্দশা লাঘবের পথ শেষ হবে না।
এ ব্যাপারে পেকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক বলেন, ওই গ্রামের মানুষের ইউনিয়ন সদর, বাজারের সঙ্গে যোগাযোগের মূল রাস্তা হচ্ছে এটি। রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। প্রায় সময় বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী কাঁদায় পিছিল খেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এবং বই খাতা ভিজে নষ্টও হয়েছে। তাই এই রাস্তাটি খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে পাকাকরন হলে এই এলাকার স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ উপকৃত হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম মাষ্টারের সাথে মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মতামত জানা সম্ভক হলো না।
উপদেষ্টা সম্পাদক ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা এনামুল হক ভূঁইয়া ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : এম. এ হান্নান যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ রুবাইয়াত আনোয়ার মেবিন হাসান