উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় আমাকে সমর্থন দিনউন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় আমাকে সমর্থন দিন
শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় আমাকে সমর্থন দিন। আমি আপনাদের সহযোগীতায় এই জনপদের উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই। দোহার ও নবাবগঞ্জকে একটি আধুনিক অঞ্চলে রুপান্তর করাই আমার একমাত্র কামনা। শনিবার বিকাল ৪টায় ঢাকার দোহার উপজেলার চরলটাখোলা মাঠ প্রাঙ্গনে উপজেলা জাতীয় পার্টি কর্তৃক আয়োজিত কর্মী সভা ও যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং দোহার নবাবগঞ্জ ঢাকা-১ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এসব কথা বলেন।
একই দিন তিনি দোহারের স্থানীয় জনসাধারনের সাথে জনসংযোগ কালে বর্তমান সরকারে আমলে হওয়া দোহার ও নবাবগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি সম্বলিত লিফলেট পোষ্টার বিতরণ করেন। এ সময় তিনি গনতন্ত্র, স্বাধীনতা ও চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে এলাকাবাসীর ভোট ও সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন। সাংসদ বলেন, আমি আপনাদের কথা দিয়ে ছিলাম নির্বাচিত হলে দোহারের পদ্মা নদীতে বাধ নির্মানের ব্যবস্থা করবো। আমার কথা রেখেছি। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে দোহারের ভাঙ্গন কবলিত মানুষের কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বহু বার বলেছি, তিনি আমাদের কথা ভেবে ২১৭ কোটি টাকা ব্যায়ে পদ্মা নদীতে বাধ নির্মানে ব্যবস্থা করেন। এখন দোহারবাসী পদ্মার ভাঙ্গন আতংক থেকে মুক্ত ইনশাল্লাহ। আগামী দিনে আপনাদের সহযোগীতার হাত অব্যাহত থাকলে দোহার ও নবাবগঞ্জ হবে একটি উন্নয়ন মূখী অঞ্চল। কেউ কারো জমি, বাড়ি অর্থ সম্পদ লুন্ঠন ও দখলে নিতে পাড়বে না। আমরা সবাই নিরপদ ও শান্তি সুখে বসবাস করবো। তাই সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত একটি উন্নয়ন মূখী অঞ্চল গড়ে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এক সাথে কাজ করতে হবে।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় আমাকে সমর্থন দিন
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত নারী পুরুষের মিছিলসহকারে সমাবেশে যোগদান করেন। এ সময় কর্মী সমাবেশ যেন জনসমাবেশে রূপ নেয়। মুর্হুমুর্হু করতালি দিয়ে সালাম ইসলামকে স্বাগত জানায় উপস্থিত জনতা। সমাবেশে রফিক তালুকদারের সার্বিক সহযোগিতায় প্রায় সহস্রাধিক নারী পুরুষ বিভিন্ন দল থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। সালমা ইসলাম বলেন, আমরা রাজধানীর কাছে থেকেও দীর্ঘ সময় অবহেলীত ছিলাম। যার মূল কারন জনপ্রতিনিধিদের বিমাতা সূলভ আচরণ ও উন্নয়নে অনীহা। এরফলে বহু দিন এই অঞ্চলের মানুষ শিক্ষা, চাকুরীসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলো। এখন আর আমরা পিছিয়ে নেই। দোহার ও নবাবগঞ্জে স্কুল ও কলেজ সরকারি করণ করা হয়েছে। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিত্তশালীদের ছেলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে আমাদের এই অঞ্চলের মেয়েরা লেখাপড়া ও চাকুরির ক্ষেত্রে অনেকটা পথ এগিয়েছে। যা একটি পরিবার ও দেশের জন্য সুসংবাদ।
তিনি এ সময় বলেন, আমাদের পিছিয়ে পড়লে চলবে না। আগামী নির্বাচনে আমাদের বিজয় লাভ করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দোহার ও নবাবগঞ্জের অসমাপ্ত সকল উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে হবে। তাই আসুন উন্নয়নের স্বার্থে, নিজ এলাকার প্রয়োজনে আমরা একসাথে কাজ করি। নতুন আগত নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সাংসদ বলেন, আমারা আর পিছিয়ে থাকব না অবহেলীত হবো না। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজ এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো এই হোক আমাদের চিন্তা চেতনা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ খন্দকার শহীদ আহমেদ, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলাল, ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, ওসি সিরাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর চোকদার, এমএ মজিদ, সেলিম শিকদার, আসাদুজ্জামান চৌধুরী রানা, যুসংহতির কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম আহমেদ প্রমুখ।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় আমাকে সমর্থন দিনউন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় আমাকে সমর্থন দিন
উপদেষ্টা সম্পাদক ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা এনামুল হক ভূঁইয়া ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : এম. এ হান্নান যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ রুবাইয়াত আনোয়ার মেবিন হাসান