দেশের প্রত্যেক জেলায় বিমান বন্দর নির্মাণ করবে আওয়ামী লীগ সরকার। সারাদেশে সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি লঞ্চ ও ট্রেনের সুবিধা থাকলেও মানুষের দুর্ভোগ ঘানক হয় না। তাই জনগণের যাতায়াতের সুবিধার কথা চিন্তা করে সরকার পর্যায়ক্রমে বিমান বন্দর গুলো নির্মাণ করবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতন মাঠে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রতিটি খাতে উন্নয়ন করে যাচ্ছে। সারাদেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুরেও ১৬টি স্কুল ও ১৬ টি কলেজে নতুন করে একাডেমীক ভবন নির্মাণ করা হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে আর সমস্যা হবে না। এছাড়াও শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মন্ত্রী আরো বলেন, লক্ষ্মীপুরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। শিঘ্রই চন্দ্রগঞ্জ থানাকে উপজেলায় উন্নীত করার বিষয়ে বাজেট অধিবেশনে আলোচনার পর উপজেলা ভবনের স্থান নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকের নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও আগামী দুই মাসের মধ্যে ঢাকা টু লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
মন্ত্রী বিএনপি’র উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা নির্বাচনে আসবেন না তাই বলে আমরাতো বসে থাকতে পারিনা, পারবোনা। ২০১৪ সালে আপনারা স্বপ্ন দেখেছিলেন সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যাবেন। একারণে নির্বাচনে আসেন নি। পাকিস্তানে সামরিক শাসনের মাধ্যমে ইমরানকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন করা হয়েছে। এতে আপনারা তো খুশি হয়েছেন। তবে এতো আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। এর আগে আপনারা তো ভারতের নির্বাচনের পরও খুশি হয়েছিলেন’।
তিনি বলেন, ‘সামরিক শাসন ও জোর করে ক্ষমতার রাজনীতি আর নয়। এদেশ পাকিস্তান নয় যে বার বার সামরিক শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’ আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটেই আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন বেল্লালের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন শরীফ, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে কেক কেটে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ ইমতিয়াজ। রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
উপদেষ্টা সম্পাদক ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা এনামুল হক ভূঁইয়া ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : এম. এ হান্নান যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ রুবাইয়াত আনোয়ার মেবিন হাসান