শিরোনাম: |
কলকাতায় শুরু হল বাংলাদেশ এর বিজয় উৎসব
দিপক দোবনাথ, কলকাতা :
|
কলকাতায় শুরু হল বাংলাদেশ এর বিজয় উৎসব উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান-এর সভাপতিত্বে রবিবার বিকেলে বিজয়ের উৎসব শুরু হয়। বিজয় উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নগরোন্নয়ন, পৌর বিষয়ক অগ্নিনির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী এবং কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী, ত্রিপুরার মহারাণী বীভু কুমারী দেবী, বাংলাদেশের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ধর্মের উপর ভিত্তি করে দেশ গঠন যে বেশীদিন টিকিয়ে রাখা যায় না বাংলাদেশের স্বাধীনতাই তার প্রমাণ। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক ও সাংস্কৃতিক বলয়ে পরিপূর্ণ একটি দেশ। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নতিতে পশ্চিমবঙ্গবাসীও সন্তুষ্টু। আশা করি বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম উন্নয়নের একটি দেশ। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব কৃতিত্বের জন্য কলকাতার জনগণও গর্ব করতে পারে। কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের জন্য কলকাতার জনগণেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তাই বাংলাদেশের বিজয় মানে কলকাতারও বিজয়। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তানের জান্তা সরকার বাঙালির জাতীয়তাবাদকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি এক হয়ে ছিল। ফলে একটি নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অপসংস্কৃতি বাংলাদেশকে গ্রাস করেছিল। আবার বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ-এর বিজয় উৎসব আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়াবলী উপস্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের বন্ধুপ্রতীম দু’দেশের জনগণের মাঝে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সুসম্পর্ক আরও মজবুত হবে। বাংলাদেশের বিজয় উৎসবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ২৫০টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশের উন্নয়নভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তিনদিনব্যাপি জমজমাট আয়োজনের প্রথম দিনে উপহাইকমিশন পরিবারের অংশগ্রহণে সমবেত সঙ্গীত পরিবেশনা, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা সঙ্গীত/নৃত্য পরিবেশন করেন। সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গীত শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ এবং শিল্পী মৌসুমী ভৌমিক। এছাড়া, আবৃত্তি করেন আহকাম উল্লাহ ও গোলাম সারোয়ার। দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/আইশি
|
আপনার মতামত দিন
|