Published : Thursday, 14 November, 2019 at 7:25 PM
আবরার ফাইয়াজ
চার্জশিট দাখিলের দুদিন অতিবাহিত হলেও বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হয়নি আবরার ফাহাদের খুনিরা। অভিযুক্ত খুনিদের স্থায়ী বহিষ্কারের কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, ভাইয়াকে হত্যার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বুয়েটের ভিসি বলেছিলেন আমি কোনো দোষ করিনি, পদত্যাগের প্রশ্নই নেই। তাহলে চার্জশিটে বুয়েট প্রশাসন বলতে কি হলের গার্ড ও ক্যান্টিন বয় তাদেরকে বুঝিয়েছে তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার বুয়েট প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিহত আবরার ফাহাদের ভাই ও বাবা।
আবরারের ছোট ভাই ফাইয়াজ বলেন, সে সময় এজাহারভুক্ত ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিল বুয়েট। কিন্তু চার্জশিটে হত্যায় অংশ নেয়া আরও ৬ শিক্ষার্থীর নাম এসেছে। তারা এখনও বুয়েটের নিয়মিত ছাত্র। বুয়েট কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল চার্জশিট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হত্যাকারীদের বহিষ্কার করা। অথচ সে কাজটি ২৪ ঘণ্টায়ও করেনি বুয়েট প্রশাসন।
আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, বুয়েটের ভিসি আশ্বস্ত করেছিলেন চার্জশিটের পর অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। অথচ ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও বহিষ্কার হয়নি খুনিরা।
আবরার ফাহাদের বাবা বলেন, যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। এখন তারা সবাই দোষী।
তিনি বলেন, এ রকম কালক্ষেপণের কারণেই আবরারকে অকালে মরতে হয়েছে। এখনও আগের সেসব ভুল শুধরে উঠতে পারেনি বুয়েট কর্তৃপক্ষ। তিনি অবিলম্বে আবরারের খুনিদের বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানান।
বুধবার দুপুরে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ। হত্যার তিনদিনের মাথায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১০ অক্টোবর এজাহারভুক্ত ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিল বুয়েট কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থী ও পরিবারের দাবি মুখে চার্জশিটের পরে অভিযুক্তদের বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
উপদেষ্টা সম্পাদক ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা এনামুল হক ভূঁইয়া ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : এম. এ হান্নান যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ রুবাইয়াত আনোয়ার মেবিন হাসান