নাসিরনগরে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারী হাসপাতালের সামনে ৫টি সহ চাতলপাড় ও ধরমন্ডলে সরকারী নীতিমালা উপেক্ষা করে যত্রতত্র গড়ে উঠতে শুরু করেছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। এতে একদিকে যেমন, সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ রোগীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সরকারী হাসপাতালের সামনে আধুনিক হাসপাতাল, মডার্ণ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, নিউ মডার্ণ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও বন্ধন নামে ৫টি।
চাতলপাড় ইউনিয়নের চাতলপাড় বাজারে সেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল বাজারে ধরমন্ডল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নামে মোট ৭টি চালু রয়েছে। তাছাড়াও চাপরতলা ইউনিয়নের চাপরতলা বাজারে জান্নাত ফার্মেসীতে ঢাকা থেকে আরগন ফার্মাসিউটিক্যাল এর এমওকে এম,বি,বি,এস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ১০০ টাকা ভিজিটের বিনিময়ে প্রতি বুধবার রোগী দেখানো হচ্ছে। নাসিরনগর থানার সামনেএকটি ফার্মেসীতে পুরুষের মাধ্যমে ডেলীভারী করানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ঘুরে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
প্রায় সকল প্রাইভেট ক্লিনিকে পরিবেশ ছাড়পত্র সহ যথাযথ অনুমোদন নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও চিকিৎসার নামে প্রায় প্রতিটি প্রাইভেট ক্লিনিকে হচ্ছে গলা কাটা ব্যবসা। তথ্য সূত্রে জানা গেছে সরকারের ‘‘দ্যা মেডিক্যাল প্র্যাক্টিস এন্ড প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ল্যাবরেটরিস রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৮২’’ অনুযায়ী ১০ বেডের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের জন্য সার্বক্ষনিক একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা মেডিক্যাল অফিসার থাকতে হবে। এছাড়া ৩ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স,৬ জন আয়া, ৩ জন ওয়ার্ড বয় ও ২ জন ঝাড়ুদার থাকার কথা। অথচ এর কোন শর্ত পূরণ না করে ক্লিনিক পরিচালনা করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীক মালিকরা।
ক্লিনিক ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় বিত্তশালীরা অনেকেই এ ব্যবসায় ঝুঁকে পড়ছে। এ বিষয়ে নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতালের পরিচালক মোঃ রায়হান আলী ভূইয়া ও নতুন করে গড়ে ওঠা বন্ধনের পরিচালক রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেন, তাদের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শামীম বলেন,নাসিরনগরে বেসরকারী হাসপাতালও ডায়াগনষ্ট্রিক সেন্টারের বিরুদ্ধে আমার কাছে অনেক অভিযোগ রয়েছে। যাদের লাইসেন্স নেই, তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেব। আর যারা লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছে এবং যারা সমস্ত শর্ত পূরণ করে বেসরকারীভাবে স্বাস্থ্য সেবা দিতে চায়,আমরা তাদেরকেই অনুমোদন দেব। এখানে কোনো ভূয়া ডাক্তার থাকতে পারবে না বলেও দাবী করেন তিনি। দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/এসকে
উপদেষ্টা সম্পাদক ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা এনামুল হক ভূঁইয়া ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : এম. এ হান্নান যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ রুবাইয়াত আনোয়ার মেবিন হাসান