Published : Thursday, 20 February, 2020 at 3:30 PM
শেরপুরে ২৮৪ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ২৮৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধায় বি ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে মাতৃভাষা ও তথা মহান একুশে ফেব্রুয়ারির সঠিক ইতিহাস অজানাই থেকে যাচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ১৩৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪২ টি মাদ্রাসা, ৪০ টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা, ১২ টি কলেজ, ৩৪ টি কেজি স্কুল ও ৪৮ টি হাইস্কুলসহ মোট ৩১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ২৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বাকি ২৮৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শহীদ মিনার। ফলে মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজস্ব শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। সরকার দেশের ব্যপক উন্নয়ন করলেও মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা শহীদদের সম্মানে প্রত্যেক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে পানিসারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সীমাবালা ও ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে যদি শহীদ মিনার থাকত তাহলে আমরাও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারতাম।
এ ব্যাপারে সচেতন মহল জানান, স্কুল কলেজের সভাপতিরা কোন এক সময় প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অথচ একটা শহীদ মিনার নির্মাণ করেনি। এটা খুব দুঃখজনক? জেলা পরিষদ সদস্য মো. মোস্তাফিজার রহমান ভুট্টো বলেন, তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য শহীদ মিনারের জন্য আবেদন দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে দুইটির অনুমোদন হয়ে কাজ শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই আরেকটির অনুমোদন হবে।
শেরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনা পারভীন জানান, প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারি নিদের্শনা রয়েছে। এজন্য আগামী ১৭ই মার্চ মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই শহীদ মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/আইশি
উপদেষ্টা সম্পাদক ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা এনামুল হক ভূঁইয়া ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : এম. এ হান্নান যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ রুবাইয়াত আনোয়ার মেবিন হাসান