বিদেশি শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের জন্য দুঃসংবাদ দিল অস্ট্রেলিয়া। দেশটির সরকার জানিয়েছে, বিদেশি শিক্ষার্থী ও অদক্ষ জনবলের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের জন্য ভিসানীতি আরও কঠিন করা হবে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির সরকার বর্তমান অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেছেন বর্তমান সরকার। এ নীতিকে ভাঙাচোরা বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে অভিবাসী গ্রহণের হারকে বর্তমানের অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার পরীক্ষায় উচ্চতর রেটিং পেতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দফার ভিসার আবেদন অধিকতর যাচাই করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নেইল সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এই কৌশল অভিবাসী গ্রহণের পরিমাণকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নামিয়ে আনবে। এটি অভিবাসীর সংখ্যা, নির্দিষ্ট কোনো সময় বা বর্তমানে অভিবাসীরা কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি সেজন্য নয়। এটি আমাদের দেশের ভবিষ্যতের প্রশ্ন।
তিনি বলেন, সরকারের এমন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ ইতোমধ্যে বিদেশিদের ওপর নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি করেছে। এরফলে অভিবাসীর সংখ্যা প্রত্যাশিত হারে কমিয়ে আনবে। যদিও এ নীতি কবে থেকে কার্যকর হবে তার তিনি স্পষ্ট করে জানাননি। এর আগে চলতি সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় আভিবাসীর সংখ্যা সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনতে হবে। তিনি ওই সময়ে অভিবাসন নীতিকে ভাঙাচোরা বলেও সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
২০২২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ৫ লাখ ১০ হাজার অভিবাসী প্রবেশ করেছেন। সরকারের প্রত্যাশা, নতুন এ পদক্ষেপের ফলে ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ সালে এ সংখ্যা প্রায় এক-চতুর্থাংশে নেমে আসবে। যা করোনা মহামারির সময়ের কাছাকাছি বলে প্রত্যাশা বিশেষজ্ঞদের। সূত্র: রয়টার্স