পাবনার সুজানগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০২মে) সন্ধ্যার দিকে সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের কালিরমোড় এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- ভায়না ইউনিয়নের ভায়না এলাকার রশিদ প্রামাণিকের ছেলে বাদশা প্রামাণিক (৪০), শেকেল শেখের ছেলে মতিন শেখ (৫০) ও মৃত আজগর আলীর ছেলে আব্দুল আওয়াল (৩৫)। তাৎক্ষণিক অন্যান্য আহত ও আটককৃদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সন্ধ্যার দিকে ভায়নার কালিরমোড় এলাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক শাহিনের এক সমর্থকের পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল তুলে দেন। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে ছোট আকারে সংঘর্ষ হয়।
একপর্যায়ে আব্দুল ওহাবের সমর্থক ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে শাহিনের সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশের সঙ্গে শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ির ওপরে শাহিনুজ্জামান শাহিনের লোকজন হামলা করেছে। আমার বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। পরে পুলিশ এসে তাদের প্রতিরোধ করে। এখন তাদের লোকজন কীভাবে আহত হয়েছে পুলিশই ভালো বলতে পারবে।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, আমিন চেয়ারম্যানের বাড়ির ওপর হামলার খবর পেয়ে সেখানে গেলে শাহিনের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের গুলি করলে একজনের পায়ে লাগে। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।