Published : Wednesday, 4 September, 2024 at 8:19 PM, Update: 05.09.2024 8:44:37 AM
চীনের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কয়েক সপ্তাহ ধরে পলাতক থাকা ফিলিপাইনের সাবেক নারী মেয়র অ্যালিস গুওকে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ গত জুলাই মাসে অ্যালিস গুওর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। চারটি দেশে অনুসরণ করে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) তাকে গ্রাপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি অনলাইন ক্যাসিনো পরিচালনায় সহায়তা করেছেন এবং এর আড়ালে ফিলিপাইনের ব্যাম্বান শহরে মানব পাচার ও স্ক্যাম সিন্ডিকেট পরিচালনা করেছেন। তবে অ্যালিস গুও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেছেন, তাকে যত দ্রুত সম্ভব ফিলিপাইনে ফেরত আনা হবে।
অ্যালিস গুও দাবি করেছেন, তিনি তার চীনা বাবা ও ফিলিপিনো মায়ের সঙ্গে পারিবারিক খামারে বেড়ে উঠেছেন। তবে ফিলিপিনো তদন্তকারী এমপিরা জানিয়েছেন, অ্যালিস গুওর আঙুলের ছাপের সঙ্গে গুও হুয়া পিং নামের এক চীনা নাগরিকের আঙুলের ছাপ মিলেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যাম্বানের অপরাধী গ্যাংকে আড়াল করার অভিযোগ রয়েছে।
অ্যালিস গুওর মামলা নাটকীয় মোড় নেয় যখন তার বোনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ফিলিপাইনের সিনেটে তার বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, যা দেশটিতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে চলমান ফিলিপাইন ও চীনের বিবাদে গুওর মামলাটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তবে অ্যালিস গুওর বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের অভিযোগ সম্পর্কে চীন এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
ফিলিপিনো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত জুলাইয়ে সীমান্তে তল্লাশি এড়িয়ে বেশ কয়েকটি নৌকা বদলিয়ে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছান অ্যালিস গুও। মঙ্গলবার তাকে জাকার্তার পশ্চিম সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রেসিডেন্ট মার্কোস বলেছেন, যারা ন্যায়বিচার এড়ানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য অ্যালিসের গ্রেপ্তার একটি সতর্কবার্তা।
ফেসবুকে একটি পোস্টে প্রেসিডেন্ট মার্কোস মন্তব্য করেছেন, 'পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা সম্পূর্ণ নিষ্ফল। আইন বাস্তবেই দীর্ঘ এবং এটি আপনার কাছে পৌঁছে যাবে।