চতুর্থ দফায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে বসতে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যমুনায় পৌঁছেছে গণফোরামের ৯ সদস্যের দল।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে দলটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে।
একইদিন আরও ছয়টি দল ও জোট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে বসবেন। এগুলো হলো: গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিল।
এর মধ্যে লিবারেল ডেমেক্রাটিক পার্টির সংলাপ হবে বেলা সাড়ে ৩টায়, বিকেল ৪টায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, বিকেল সাড়ে ৪টায় ১২ দলীয় জোট, বিকেল ৫টায় জাতীয়তাবাদী সমমনা দল, বিকেল সাড়ে ৫টায় এনডিএম, লেবার পার্টি ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(আ-প্র), সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় পার্টির (আন্দালিব) সঙ্গে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া দল বা জোটের একাধিক নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে তাদের আলোচনার মূল কেন্দ্র থাকবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার এবং নির্বাচনি রোডম্যাপ। এ ইস্যুতে তারা সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব দেবেন।
এছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগের দোসরদের সরানো, গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন।
এরআগে ৫ অক্টোবর প্রথম দিনের সংলাপে অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণ অধিকার পরিষদসহ পাঁচটি দল এবং গণতন্ত্র মঞ্চসহ তিনটি জোট।
সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটকে সংলাপে ডাকা হবে না। এছাড়া সংলাপের জন্য জাতীয় পার্টিকে (জাপা) এখনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে ছাত্রনেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলটির ব্যাপারে আপত্তি এসেছে।
এই আপত্তির পেছনে অভিযোগ হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল জাপা। এ প্রেক্ষাপটে সংলাপে জাপার ডাক পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।