Published : Wednesday, 23 October, 2024 at 5:22 PM
৭২-এর মুজিববাদী সংবিধান বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো রাজনৈতিক দল ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার পক্ষে অবস্থান নিতে পারে না। এই সংবিধানকে বাতিল করতে হবে।’
এর আগে ফেসবুকে আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘৭২-এর মুজিববাদী সংবিধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে জনগণের অংশগ্রহণকে ছোট করা হয়েছে এবং অস্বীকার করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকে সুনির্দিষ্ট একটি দলের হাতে তুলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লীগীকরণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা মনে করি, গণঅভ্যুত্থান কিংবা বিপ্লব কোনো সুনির্দিষ্ট দলের সম্পত্তি নয়। এটিকে জনগণের সম্পত্তিতে পরিণত করতে হলে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে জনগণের সংবিধানে রূপান্তরিত করতে হবে। সেজন্য ৭২-এর একদলীয় সংবিধানকে বাতিল করে একটি জনগণপন্থী সংবিধান রচনা করতে হবে। এই প্রশ্নে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপসহীন থাকব।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘মঙ্গলবারের পাঁচ দফার প্রথম দফা হলো ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে নতুন করে জনগণপন্থী সংবিধান লিখতে হবে। এ দাবির বিপরীতে অবস্থান নিয়ে ৭২-এর সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার বয়ান হলো গণঅভ্যুত্থান পরিপন্থী বয়ান। ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান পরিপন্থী যেকোনো বয়ান আবার ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেবে। সুতরাং ২৪- এর গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটে বিশ্বাসী ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যবদ্ধ শক্তি ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের সুযোগ দিতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকে চূড়ান্ত বিপ্লবে পরিণত করতে হলে পাঁচ দফা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। এই পাঁচ দফা বাস্তবায়নে গণতন্ত্রকামী ফ্যসিবাদবিরোধী ঐক্যবদ্ধ শক্তির লড়াই অব্যাহত থাকবে।’
পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো
১. মুজিববাদী সংবিধান অর্থাৎ ৭২-এর সংবিধান বাতিল করে দিয়ে, নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে।
২. এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. ফ্যাসিবাদী সংবিধানের রাষ্ট্রপতি চুন্নুকে এই সপ্তাহের মধ্যে পদচ্যুত করতে হবে।
৪. অভ্যুত্থানের স্পিরিট ও জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের আলোকে চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে proclamation of Republic জারি করতে হবে। সেটির ভিত্তিতে এবং সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে।
৫. বিগত তিনটি (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে।