Published : Wednesday, 6 November, 2024 at 11:34 AM
ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন মার্কিন জনগণ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয়ে গেছে গণনা। মার্কিন নির্বাচনে ৩ শতাধিক ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে জয়ী হতে পারেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে লাইভ আপডেটে মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এই তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, এখন যে পরিস্থিতি চলছে তাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প ইলেক্টোরাল কলেজের ৩০১ ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস ২৩৭টি ভোট পেতে পারেন।
এদিকে, মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফলে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এখন পর্যন্ত ২১১টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে পারেন ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা পেতে পারেন ১৫৩টি।
এর মাধ্যমে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ভার্জিনিয়ার ১৩টি ইলেক্টোরাল ভোট নিজের থলিতে যোগ করলেন। হ্যারিসের বিজয়ে তৃতীয়বারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বর্পূর্ণ রাজ্যটি হারালেন। রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইয়ে ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত প্রার্থী ২০০৮ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনে ভার্জিনিয়া জিতে আসছেন। এবার ট্রাম্প জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও জিততে পারলেন না।
এদিকে নিউইয়র্কেও জয় পেয়েছেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস। এতে কমলা হ্যারিস রাজ্যের ২৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাচ্ছেন। এ রাজ্যে ১৯৮৪ সালের নির্বাচনে রোনাল্ড রিগানের জয়ের পর আর কোনো রিপাবলিকান প্রার্থী জিততে পারেননি। এরপর থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরাই বেশি ভোট পেয়ে আসছে।
এর আগের ২০২০ সালের নির্বাচনেও ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে জয়ের জন্য ব্যাপক চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তখন জো বাইডেন ২৩.১ পয়েন্ট পেয়ে সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিজের ঘরে তোলেন।
হোয়াইট হাউসের নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে যেতে নিউইয়র্ক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যার আধিক্যের হিসাবে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও ফ্লোরিডার পরে নিউইয়র্কের অবস্থান। নিউইয়র্ক নিজের ঘরে তুললেও কমলা হ্যারিস জয়ের প্রবল সম্ভাবনা জাগাতে পারছেন না। কারণ, দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে এগিয়ে ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কয়েকটি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর ৬টায়। এরপর ধাপে ধাপে সব রাজ্যে শুরু হয়। দেশটিতে রাজ্যভেদে সময়ের ব্যবধান এবং একেক রাজ্যে একেক সময় ভোটগ্রহণ শুরুর সময় নির্ধারিত থাকায় শেষের সময়েও পার্থক্য হয়েছে। ঠিক এ কারণেই কিছু রাজ্যে ভোট গণনা দেরি হচ্ছে।
দেশটিতে মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। জিততে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে।
নির্বাচনের জয়–পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে দোদুল্যমান ৭টি অঙ্গরাজ্য। সেগুলো কোনো দলের সুনির্দিষ্ট ঘাঁটি নয়। এসব অঙ্গরাজ্য হলো—নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, অ্যারিজোনা ও নেভাদা। নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা এসব রাজ্যের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন। বাকি রাজ্যগুলো রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেটিক দলের ঘাঁটি। সেসবে ধারাবাহিকভাবে নির্দিষ্ট একটি দলই জিতে আসছে।