আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ৮৮ মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দোষীদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, এই কাজে (সংখ্যালঘু নির্যাতনে) যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করবো। চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ ও নরসিংদীর ঘটনায় আপডেট দেবো।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় হামলার শিকার ব্যক্তিরা শুধু সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, তারা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পদধারী ছিলেন, এজন্যই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে, যেকোনো অপরাধ ঘটলেই আমরা তা সিরিয়াসলি নিচ্ছি এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
বাংলাদেশের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত রাখাইনের সঙ্গে শেয়ার করছে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোনও ধরনের কৌশলগত পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা বা দেশের প্রস্তুতি রয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, পুরো পরিস্থিতি আমরা খুবই গভীরভাবে মনিটর করছি। সার্বিক রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধান উপদেষ্টা একজন উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি গভীরভাবে এটা মনিটর করবেন এবং যারা যারা অংশীজন আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি জানান, আগামী বছর আমাদের একটা বড় কাজ হবে— রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করার। এর ভেন্যু ও অন্যান্য বিষয়াবলি মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ঠিক করে ফেলবো।
শফিকুল আলম বলেন, আশা করছি এই সম্মেলনটা হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে। বিশ্বের যতগুলো দেশ রয়েছে, সবাই এতে অংশ নেবেন। বিশেষ করে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীনসহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে যারা খুবই আগ্রহী তারা সবাই থাকবেন।
জাতিসংঘের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে অনেকবার কথা হয়েছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সময়ে তিনি এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পদোন্নতিবঞ্চিত ১ হাজার ৫৪০ জন উপসচিব থেকে সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তা পদোন্নতি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করেছিলেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭৬৪ জনকে সুযোগ সুবিধা দিয়ে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।