ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বড় অংশজুড়েই চলছে স্টল-প্যাভিলিয়ন নির্মাণের কাজ। প্যাভিলিয়ন মজবুত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে নানা উপকরণ। এতে খরচের সাথে বেড়েছে সৌন্দর্য্যও। ফেব্রুয়ারি মাসে লেখক-পাঠকের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠবে অস্থায়ী এসব স্থাপনা।
আর মাত্র দুইদিন পরই শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। বাঙালির প্রাণের মেলা। মেলার উদ্বোধনের দিনক্ষণ প্রায় ঘনিয়ে এসেছে। এ যেন দরজায় কড়া নাড়ছে। তবে এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি মেলাপ্রাঙ্গণ কিংবা স্টল। পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি স্টলগুলো।
বেশির ভাগ স্টলের কাজ শেষ হয়নি। কোনো কোনো স্টলের কাজ ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। কেউ কেউ সবেমাত্র বাঁশ-কাঠ এনে কাজে হাত দিয়েছেন। ফলে বাকি দুই দিনে শতভাগ কাজ শেষ করে উদ্বোধনী দিনে স্টলগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।
প্রকাশকরা বলছেন, বইমেলার একক আয়োজক বাংলা একাডেমি। তারা স্টল বরাদ্দসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত দিতে দেরি করেছে। তাই স্টল নির্মাণের কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। মেলা শুরুর পরও সপ্তাহখানেক কাজ চলবে।
তবে ভিন্ন কথা বলছেন আয়োজকরা। তাদের দাবি, মেলা শুরুর আগেই শতভাগ স্টলের কাজ এবার হয়ে যাবে।
গতকাল রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ স্টলের কাঠামো দাঁড় করানোর কাজ চলছে। কিছু কিছু স্টলে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নামের বোর্ড লাগানো হলেও বাকি রয়ে গেছে বহু কাজ।
স্টল বানানোর কাজে শ্রমিকরা ব্যস্ত যেন কথা বলার ফুসরত নেই তাদের। সব স্টলেই শ্রমিকদের নির্দেশনা দিতে উপস্থিত প্রকাশনার কর্মকর্তারা। তারা কয়েক মিনিট পরপরই দ্রুত কাজ শেষ করার তাগাদা দিচ্ছেন। মেলা প্রাঙ্গণে এখন শুধু হাতুড়ি-পেরেকের শব্দ। তবে রং-তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে কোনো কোনো স্টলে।
কাঠামো দাঁড় করিয়েই অনেকে নজর কাড়তে রঙিন নামফলক বা বোর্ড লাগিয়েছেন স্টলে। তবে এসব রঙিন নামফলক নজর কাড়ছে অনেকের।
বইমেলা নিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী গণমাধ্যমকে বলেন, এবার পুরো গ্রন্থমেলাকে আনা হচ্ছে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমৈর (জিপিএস) আওতায়।
তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের মেলার স্টলগুলো রাখা হচ্ছে নির্দিষ্ট দূরত্বে। মেলার দর্শনার্থীরা যেনো বই কেনার পাশাপশি এখানে একটু স্বস্তিতে বসতে পারে, একটু ঘোরাফেরা করতে পারে, সে ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
বাংলা একাডেমির তথ্য অনুযায়ী, গতবারের মতো এবারও মেলা বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর আর কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবে না। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে দুই ক্যাটাগরিতে প্যাভিলিয়ন থাকবে ২৩টি। আর শিশু কর্নারে শিশু বিষয়ক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য থাকছে ৭৫টি ইউনিট।