সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে শিগগিরই সুখবর পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের লালদিঘি চত্বরে ‘চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে। খুব সহসা আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু এটুকুই বলি, নাবিকেরা খুব শিগগির মুক্তি লাভ করবেন ইনশা আল্লাহ, জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। সোমালিয়ার জলদস্যু কর্তৃক ছিনতাই হওয়া জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে।
এদিকে ঈদের আগেই নাবিকদের উদ্ধারের কথা চাউর হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সে সময় জানা গিয়েছিল, জলদস্যুরা মুক্তিপণের আলোচনা গুটিয়ে এনেছে। শেষ মুহূর্তে জানানো হয়, দোভাষীর সহায়তায় দর কষাকষি চলছিল। সব ঠিক থাকলে ঈদের আগেই জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্ত হবেন।
কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, অতীতে জাহান মনির ক্ষেত্রে এমন করা হয়েছিল। এবারও প্রয়োজনে তাই করা হতে পারে। যদি আলোচনা শেষে উভয়পক্ষ সম্মত হয়। এর ব্যতিক্রমও হতে পারে। বিষয়টি নির্ভর করবে পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর।
মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ান জলদস্যুরা। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই।
এর আগে, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজিরও রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়েছে। সে হিসেবে ঈদের আগেই সবাই মুক্তি পাওয়ার আশা ছিল।